ভালবাসা অনুপ্রেরণা হওয়া উচিত, কর্তব্য নয়

 


ভালবাসা একটি অনুপ্রেরণা হওয়া উচিত, কোন কর্তব্য নয়।

— জাসা জাসা গাবোর

আপনি পৃথিবীতে নানান ধরণের মানুষ দেখবেন, তাদের কারো হয়তো বেড়ে ওঠা অত্যান্ত শান্ত-নিরীবিলি পরিবেশে। কারো বা কোলাহলে।

কেউ বেড়ে ওঠে যৌথ পরিবারে কেউবা ছোট পরিবারে।

একটা সময় পর এই বেড়ে ওঠা, পরিবেশ, সামাজিক অবস্থান, দৃষ্টিভঙ্গি প্রভৃতির প্রভাব পড়ে ব্যক্তিজীবনে। 

উল্লেখ্য, ব্যক্তিজীবনে যেমন উপরের বিষয়গুলোর প্রভাব পড়ে- জীবনের নানান ধাপে অজস্র মানুষও এর সাক্ষী হন। #ridoy_alom 

যদি ভেঙে বলি; ধরুন আপনি এমন একটা পরিবার থেকে উঠে এসেছেন যেখানে রোজ পাঁচটায় উঠে প্রার্থনা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে- কিন্তু আপনি বয়সের কোন এক সময় এমন একজনের সাথে পরিচিত হলেন- যিনি ছোট থেকে নিয়ম করে বেলা ১২টা পর্যন্ত ঘুমান।

এবার আপনারা যদি কখনো একইসাথে রুম শেয়ার করেন তখন আপনার ভোরে ওঠা অন্য কারো বিরক্তির কারণ হতে পারে- আবার অন্য কারো ঘুমও আপনার!

পারিবারিক ক্ষেত্রেও একি ব্যাপার ঘটতে পারে। ধরুন ছেলে নতুন একটা চাকরি পেল- কিন্তু যে ক'টাকা মাইনে তা দিয়ে বাসা ভাড়া আর বন্ধুদের রেস্তোরাঁর বিলই মিটলো না।

ওদিকে বাবা তার বন্ধুর ছেলেকে দেখেছেন, নতুন চাকরি পেয়েই পুরো পরিবার নিয়ে শপিংমলে চলে গেছে। তারও আশা ছিলো ছেলে অন্তত ২-১টা পাঞ্জাবি গিফট করবে, প্রথম মাইনে থেকে। মাও নতুন শাড়ি চেয়েছেন মনে মনে। ছোট বোনটার একটা মোবাইলের শখ বহুদিনের।

কিন্তু কাউকে কিছুই দিতে পারলো না ছেলেটা। অভিমানের পাল্লা ভারী হলো।

যদি বিয়ে করেন, শ্বশুর-শাশুড়ি আশপাশের দুই-চার এলাকায় খোঁজ খবর নেবেন- কার জামাই কি করলো। আপনার কাছেও প্রত্যাশা থাকবে। কিন্তু ওই, হিসেবে মিলবে না। দিনশেষে অভিমান, অভিযোগ।

সবশেষে হিসেব হলো হুমায়ূন আহমেদ এ উক্তির মতো, 'মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণীর আসল রূপ দেখতে পায়।'